Islamic Media BD's video: -

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। এটি "মাদরাসাতুস সুন্নাহ আল-ইসলামিয়া" মাদরাসা। এই মাদরাসাটি পাবনা জেলার বেড়া থানার অন্তর্গত চাকলা গ্রামে অবস্থিত। মাদরাসাটিতে বর্তমান ২৯ জন ছাত্র, একজন শিক্ষক এবং একজন বাবুর্চি রয়েছে। এই ২৯ জন ছত্র এবং শিক্ষক সকলেরই থাকা খাওয়া মাদরাসাতেই হয়ে থাকে। এই বিশাল খরচের ভার মাদরাসাকেই বহন করতে হয়। আসলে এখানকার সকল ছাত্রই অত্যন্ত দরিদ্র খেটে খাওয়া পরিবার থেকে এসেছে। তাই তাদের পরিবারের পক্ষে সাধ্য নেই যে, তাদের এই সন্তানদের মাদরাসায় থাকা খাওয়া এবং পড়া লেখার খরচ বহন করবে। তাই এই এতগুলো মানুষের থাকা খাওয়ার খরচ এবং শিক্ষকের বেতন এবং বাবুর্চির বেতনের খরচ বহন করা মাদরাসাটির কর্তৃপক্ষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদরাসার প্রতি মাসের আনুমানিক খরচগুলো হচ্ছেঃ ১। চাল, ডাল, কাঁচা বাজার, খাওয়া-দাওয়া বর্তমান = ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রায় ২। হুজুরের বেতন = ৮০০০ টাকা ৩। বাবুর্চির বেতন = ২০০০ টাকা ৪। বিদ্যুৎ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের খরচ ৫। ছাত্রদের ড্রেস বানানোর খরচ তাই দেশবাসীর কাছে আকুল আবেদন, যাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা অর্থ সম্পদ দিয়েছেন, তারা এই ইয়াতিম, দরিদ্র বাচ্চা ছেলেদের কুরআন শিক্ষার জন্য, ইসলাম শিক্ষার জন্য এগিয়ে আসুন। অর্থ সহায়তা দিয়ে এই মাদরাসাটিকে জীবন্ত করে তুলুন। আল্লাহ আপনাদেরকে এর উত্তম প্রতিদান অবশ্যই দিবেন। ইনশাআল্লাহ। যোগাযোগঃ মাদরাসাতুস সুন্নাহ আল-ইসলামিয়া চাকলা, বেড়া, পাবনা। মোবাইলঃ ০১৭১৫৮৪৫২৭৭ (বিকাশ, পার্সোনাল) আল্লাহর রাস্তায় এক টাকা খরচ করলে আল্লাহ তাআ’লা সেটাকে ৭x১০০=৭০০ গুণ বা আরো বেশি গুণ বৃদ্ধি করেন। মহান আল্লাহর বাণীঃ "যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের (দানের) উপমা একটি বীজের মত, যা সাতটি শীষ উৎপাদন করে, তার প্রত্যেক শীষে একশ শস্যদানা রয়েছে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আর আল্লাহ্ সর্বব্যাপী- প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। সুরা আল-বাক্বারাহঃ ২৬১। তাফসীরঃ এই আয়াতে বর্ণিত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআ’লার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে স্বীয় ধন-সম্পদ খরচ করে, সে বড়ই বরকত ও পুণ্য লাভ করে থাকে। তাকে সাতগুণ প্রতিদান দেওয়া হয়। তাই বলা হচ্ছে যে, যারা আল্লাহর পথে খরচ করে অর্থাৎ আল্লাহর যেকোন আদেশ পালনের জন্য, জিহাদের জন্য ঘোড়ার লালন-পালনে, অস্ত্র-শস্ত্র কেনার জন্য, নিজে হজ্ব করার কাজে কিংবা অপরকে হজ্ব করানো ইত্যাদি কাজে ধন-সম্পদ খরচ করে থাকে তাদের দানের উপমা হচ্ছে যেমন একটি শস্য বীজ। প্রত্যেক বীজে উৎপন্ন হয়ে থাকে সাতটি শীষ, আবার প্রত্যেক শীষে উৎপন্ন হয় একশো শস্যদানা। (সুবহা’নাল্লাহ), কি মনোমুগ্ধকর উপমা! একের বিনিময়ে সাতশো পাবে, মহান আল্লাহর সরাসরি এই কথা বলার চাইতে উপরোক্ত কথা ও উপমার মধ্যে খুব বেশী সূক্ষ্মতা ও পরিচ্ছন্নতা রয়েছে এবং ঐদিকে ইঙ্গিত রয়েছে যে, সৎ কার্যাবলী আল্লাহ তাআ’লার নিকট বৃদ্ধি পেতে থাকে, যেমন বপনকৃত বীজ জমিতে বাড়তে থাকে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কোন ব্যক্তি তার হালাল ও পবিত্র উপার্জিত একটি খেজুর দান করলে আল্লাহ তাআ’লা ডান হাতে তা গ্রহণ করেন এবং তোমাদের মধ্যে কেউ যেইভাবে একটি উট বা ঘোড়ার বাচ্চা লালন-পালন করে বড় করে থাকে, আল্লাহ তাআ’লাও সেইভাবে (তোমাদের এই সামান্য পরিমাণ দানকে) বাড়াতে থাকেন। অবশেষে বাড়তে বাড়তে তা পাহাড় বা পাহাড়ের চাইতেও অনেক বড় হয়ে যায়।” সহীহ মুসলিমঃ ২২৩৩। (সুবহা’নাল্লাহ), তাই মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমাদের মাদরাসায় দান করতে সরাসরি যোগাযোগ করুণ। মাদরাসাতুস সুন্নাহ আল-ইসলামিয়া চাকলা, বেড়া, পাবনা। মোবাইলঃ ০১৭১৫৮৪৫২৭৭ (বিকাশ, পার্সোনাল)