Luxurious Lifestyle's video: Apurbo Lifestyle Income Family Biography 2020

জিয়াউল ফারুক অপুর্ব এদেশের নাট্য প্রেমি তরুন তরুণীদের কাছে এই মানুষ্টাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছুই নেই। এক জন জনপ্রিয় নাট্য অভিনেতার পাশা -পাশি তিনি একাধারে মডেল, বড় পর্দার চলিচিত্র অভিনেতা, পরিচারক এবং সংগীত শিল্পি। তবে তিনি মুলত এদেশের নাটকের বাস্তব চরিত্রের অভিনয় করার মাধ্যমে সকলের মনের মণিকোঠায় যায়গা করে নিয়েছেন। যেমন তার অভিনীত বড় ছেলে টেলিফিল্ম এর কথায় বলা যায়। পরিবার ও ক্যারিয়ার এর কথা চিন্তা করে শত আবেগকে কোরবানি দিয়ে তার অভিনিত সেই নাটকে চোখের জল ফেলেছে কোটি-কোটি নাট্যপ্রেমি তরুন তরুণী। এমন শত শত নাটকের অভিনয়ের মাধ্যমেই তিনি আজকে বাংলাদেশের সেরা নাট্য অভিনেতাদের মাঝে অন্যতম একজন অভিনেতা। আজকের এই ভিডিওতে যানবো এই জন্ প্রিয় নাট্যাভিনেতার জীবনের গল্প এবং নানা অজানা তথ্য। ১৯৮৩ সালের ২৭শে জুন ঢাকার এক শিল্প পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহন করেন। চার ভাই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তার মা ফিরোজা আহমেদ রাজশাহী বেতারের একজন শিপ্লী ছিলেন। তার নানা রাজশাহী বেতারের একজন উপস্থাপক ছিলেন। বাল্যকাল থেকেই অপুর্বের মিডিয়ায় আসার আগ্রহ ছিল। জিয়াউল ফারুক অপুর্ব এর উচ্চতা ৫ ফুট ১১.৫ ইঞ্চি । অপুর্ব অভিনয় জীবনে প্রবেশ করেন ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে। তারপর ক্যামেরার সামনে দাড়ান অমিতাভ রেজার পরিচালন Nascafe (নেসক্যাপে) কপির বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এর আগে তিনি ২০০২ সালে "ইউ গট দ্যা লুকস" অনুষ্ঠানে "মিঃ বাংলাদেশ খ্যাতি অর্জন করে ১ম বারের মত সকলের নজরে আসেন। বৈবাহিক নাটকের অভিনয়ের মাধ্যমে অপুর্ব তার মুল ধারার ক্যারিয়ার শুরু করেন। যা ২০০৬ সালে গাজী রাখায়েতের পরিচালনায় প্রচারিত হয়। প্রথম নাটকেই অভিনয় করে সকলের নজর কাড়েন, এবং এর ফলে অই একই বছর অভিনয় করেন একে একে আটটি নাটকে। এর পর অপূর্বকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। তিনি একের পর এক নাটক উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। সাধারনত অপূর্বের রোমান্টিক এবং আবেগি চরিত্র গুলো দর্শকরা খুভ পছন্দ করেন। এছাড়া তিনি সব সময় ন্যাচারাল অভিনয় করতে অব্যশত। সাধারন লুকের মাঝে তার অসাধারণ অভিনয় এর জন্যই তার আজকের এই জনপ্রিয়তা। আজকের এই গ্রহন যোগ্যতা। অপূর্ব অভিনিত নাটকের মধ্যে কিছু নাটক হলো, বৈবাহিক, কথা ছিল অন্যরকম, চোখের ভাইয়ে, স্যরি, খুজি তোমায়, ঘর জামায় হতে চাই না, কপি হাইজ, মহানগর, অস্তিত্ব অনুভবে, স্বপ্নের নীল পরী, এক্স ফ্যাক্টর, চোখে আমার তৃষ্ণা, ব্যাকডেটেড, ভালোভাসার চতুষ্কোণ, অভিমান, মেয়েটির মাম কথা, মা, চান্দেরগাড়ি, ফ্যান পেইজ, অবশেষে অন্যরকম, স্বপ্ন ঘুড়ি, সবার উপরে মা, লাইফ ইন মেট্রো, লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সেই ছেলেটা, প্রেম তুমি, এতটা ভালোবাদি, ব্যাচ টুয়ান্টি সেভেন, বড় ছেলে, তুমি আমার, দ্যা হিরো, আস্থা, জীবন যেখানে টুকরো প্রেমের টান, নীল প্রজাপতি, দাগ, ফার্স্ট লাভ, আলোয় আকাশ ভরা, না বলা সেই ডায়রী, ঠিকানা, ইত্যাদি। তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ টির ও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। তার আলোচিত নাটক গুলোর মধ্যে মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত বড় ছেলে টেলিফিল্ম অন্যতম। তার পর ২০১৮ সালে 'গল্পগুলো আমাদের, 'শেষ পর্যন্ত, আনমনে তুমি, খেয়ালী আমি হেয়ালী তুমি, সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেন। এদিকে অপূর্ব নিজের লিখা গল্পে একটি বিশেষ নাটকে অভিনয় করেন। অপুর্ব প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী, স্বভাবে বদ মেজাজী। নিজেকে তিনি দুর্ভাগা মনে করেন, এই কারনে তিনি সব সময় নিজেকে রিজার্ভ রাখতে পছন্দ করেন। আশে পাশে সবাই তাকে বেশ সমীহ করেন। এরি মাঝে তার পরিচয় হয় মডেল টয়ার সাথে সে সট পটে তরুনী সে কাঊকে পরোয়া করে না, দুর্ভাগা অপূর্ব একবার জীবন থেকে পালিয়ে বাচে, তো আরেকবার সব হিসেব পালটে দিতে চান। এমনি গল্পে সেই নাটকটির নাম ছেলেটি ভাগ্যবান ছিল না, নাটকের গল্পের মুল কারিগর অপূর্ব হলেও নাটকটি লিখেছেন নওরক ইকরাম, পরিচালনা করেছেন মোহন আহমেদ, এছাড়াও যে নাটকটি পুরা দেশে আলোঢ়ন সৃষ্টি করেছে তার মাঝে মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত "বড় ছেলে" নাটকটির কথা নিশ্চয় কারো অজানা নয়। অপূর্বের চলচিত্র অভিষেক হয় আশিকুর রহমান পরিচালিত গ্যাংস্টার রিটার্নস চলচিত্র দিয়ে ছ। ছবিটি ২০১৫ সালের ২৭ শে নভেম্বর মুক্তি পায়। এছাড়া তিনি মোর্শেদুল ইসলাম পরিচালিত বৃষ্টির দিনে মুভিতে অভিনয় করেন। কিন্তু সেই ছবিটি কিছু জটিলতার কারনে মুক্তি পায় নি। এছাড়াও তিনি তৃতীয় কৌশর নামে একটি চলচিত্রে অভিনয় করেন। অপূর্ব নিজের প্রযোজনা সংস্থা A.S.I ক্রিয়েশন লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১২ সালে ব্যাকডেটেড নামে একটি টেলি চলচিত্র পরিচালনা করেন। অপূর্ব ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট ভালবেসে বিয়ে করেন মডেল প্রভাকে। প্রভার প্রাপ্তম প্রেমিক রাজীবের সাথে তার সম্পর্কের কথা জানতে পেরে ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। এর পরে অপূর্ব ২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন। অপূর্ব ও অদিতির একমাত্র সন্তান জায়ান ফারুক #আয়াশ । অপূর্ব ও তার ছেলের জন্ম একই দিনে ।আয়াশের বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। এইটুকু বয়সে বাবার সঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াল সে। মনোযোগী অভিনেতার মতো বাবার দেখাদেখি পরিচালকের নির্দেশনাও শুনল। ১ম থেকে পুরোদস্তুর অভিনেতাই হয়ে গেল আয়াশ। , , #অপূর্ব অভিনয়ের স্বীক্রিতি হিসেবে ২০১৮ সালে পুরস্কার জিতেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার। অপূর্ব ছোটপর্দার দর্শকের কাছে রোমান্টিক অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়। অপূর্ব এই সময়ে খণ্ড নাটকের জন্য নিচ্ছেন প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা। ধারাবাহিকের জন্য প্রতিদিন নিচ্ছেন প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আরো এমন তারকাদের ও অভিনেতাদের জীবনের গল্প ও অজানা তথ্য জানতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন।