Luxurious Lifestyle's video: Bachelor Point Actor Polash Lifestyle House Car Income Family

যারা মানুষকে সফলতা হাসিল করে দিতে পারে না সফলতা হাসিল হয় শুধুমাত্র ওই মানুষটির কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। এই কথাটি কড়ায়-গণ্ডায় মিলে যায় বর্তমানের জনপ্রিয় অভিনেতা পলাশ যাকে আমরা কাবিলা বলে চিনি।   বর্তমানে পলাশ বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় একজন নাট্য অভিনেতা দের মধ্যে একজন। আজকের ভিডিওতে আমরা জনপ্রিয় অভিনেতা পলাশের জীবন কাহিনী শুনবো । সংগ্রামে এই অভিনেতার কাহিনী জানতে অবশ্যই ভিডিওটি কন্টিনিউ করবেন এবং আমাদের চ্যানেল টিকে সাবস্ক্রাইব করে যাবেন। চলুন মূল ভিডিওতে চলে যাই। নাম জিয়াউল হক পলাশ, তাকে সবাই পলাশ বা #কাবিলা বলেই ডাকে. তার জন্ম সাল 1993 সালের 3 ফেব্রুয়ারি. বয়স 25 বছর. জন্মস্থান নোয়াখালীর কালিকাপুর গ্রামে. তিনি বর্তমানে ঢাকার নাখলা পাড়াতে থাকেন.   পলাশকে এখন অনেকে তাঁর মূল নামে ডাকেন না। ভক্তদের কাছে পারভেজ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন। এমনকি রাস্তাঘাটে যখন বেরোন, অনেক ভক্তই তাঁকে পারভেজ নামে ডাকেন। এমন একটি মজার ঘটনাও ভাগাভাগি করেন তিনি। “কিছুদিন আগে আমি আব্বা-আম্মাকে নিয়ে মার্কেটে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে কিছু মানুষ পারভেজ-পারভেজ বলে ডাকেন। তখন আব্বা আমাকে বলল, তোকে সবাই পারভেজ বলে ডাকছে কেন? তখন আমি বোঝালাম, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নাটকে আমার চরিত্রের নাম পারভেজ। এটা আসলে অনেক বড় প্রাপ্তি; নাটকের একটি চরিত্র যখন সবার কাছে পরিচিত লাভ করে। পড়ালেখায় এত টা মনোযোগী ছিল না পলাশ । তিনি ছোট বেলা থেকেই অভিনয় সত্বা আর তার পরিচালনা করার অভিপ্রায় নিয়েই পড়ে থাকতেন ।২০০৯ সালে তিনি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি  স্কুল থেকে তিনি এস এস সি পরিক্ষা দেন । কিন্তু দূরভাগ্য ক্রমে ২০০৯ সালে তিনি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে পারেন নি । পরবর্তী তিনি আবার ২০১০ সালে পুনরায় পরীক্ষা দেন এবং সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন ।  তিনি এইচ এস সি ভর্তি  হন । ফের আবার এক বছর ড্রপ হয় । ২০১৩ সালে তিনি এইচ এস সি পরীক্ষায় পাস করেন । তিনি অনার্স এ ভর্তি হন তিতুমীর কলেজে । সেখান তিনি ২০১৯ সালে ফাষ্ট ক্লাস পেয়ে সফলতার সহিত  অনার্স জীবন সমাপ্ত করেন । 2 / 3 পলাশ এইচ এস সি তে পড়ার সময়  প্রথম প্রেমে পড়েন এক বান্ধবীর । পরষ্পরের কথা দেওয়া -নেওয়া হয় । পলাশ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে তবেই প্রিয় বান্ধবীর পরিবারের সদস্যদের মুখামুখী  দাড়াবেন । আর তার বান্ধবি পড়বেন ম্যাডিকেল এ । অন্য সবার মতো তারাও ডাক্তার -ইঞ্জিনিয়ার এর স্বপ্নে বিভোর । কিন্তু এই স্বপ্ন বেশিদিন টিকে নাই । কিবাবে টিকবে তার যে পরিচালক হওয়ার ইচ্ছে টাই  চেপে বসে প্রবল বাবে । পরবর্তীতে তার প্রিয় বান্ধবী টি যার সাথে তার দেওয়া-নেওয়া হতো (কথা ) সে  থাকে ছেড়ে চলে যায় । ছোট বেলা থেকেই প্রচুর নাটক এর শুটিং দেখে এসেছেন।তখনো তার মাঝে কখনো অভিনয়ের স্বপ্ন জাগেনি।বরং সবসময় স্বপ্ন দেখত নিজে কিছু করে দেখানোর।একজন নির্মাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার।সেই আগ্রহই তাকে পরিচয় করিয়ে দেয় পরবর্তীতে তার গুরু বনে যাওয়া ইস্তিয়াক আহমেদের সাথে।তার যাত্রা শুরু তারপর থেকই।পলাশ দীর্ঘদিন ইস্তিয়াক আহমেদ এর সাথে কাজ করে ইতোমধ্যেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন সহ পরিচালক হিসেবে।সম্প্রতি তার পারিচালিত নাটকে অভিনয় করেছেন সময়ের সেরা সবিজ তারকারাও। নির্মাতা হওয়ার ভূত পলাশের মাথা থেকে এখনো নামেনি।আর সেটা তিনি নামাতেও চান না।তবে দর্শকরা তাকে নির্মাতার থেকে অভিনেতা হিসেবেই দেখতে বেশি পছন্দ করে। কোন এক নির্মাতা বড় ভাই এর প্রস্তাব পেয়ে না করতে না পারায় পলাশ প্রথম অভিনয় করেছিলে ট্যাটু নাটকে।অভিনয়ের সময়ও তিনি সেটা নিয়ে অতটা উত্তেজিত ছিলেন না।কিন্তু নাটকটি টিভি চ্যানেলে প্রচারের পর দারুন সাড়া পেতে থাকেন পলাশ যা তাকে সত্যিই বিমোহিত করে ফেলে।যদিও এর আগে কিছু নাটকে ছোট ছোট কিছু কাজ করেছিলেন তিনি।তবে তারপর থেকেই অভিনয়ের প্রতি বেশ আগ্রহের জন্ম হয়।পলাশ অভিনীত প্রথম নাটকের নাম ছিল ট্যাটু।সেই নাটকের চাপাবাজের চরিত্রে অভিনয় করেই দর্শকদের সামনে আসেন জিয়াউল হক পলাশ।দর্শকরা তখন থেকেই তার চাপাবাজির অভিনয়কে বেশ পছন্দ করতে শুরু করেন।নোয়াখালী জেলার আঞ্চলেক ভাযায় চাপাবাজি দিয়ে দর্শকের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন এই অভিনেতা। 3 / 3 তিনি সফলতার শিখর এ উঠেন ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ এর মাধ্যমে। পারিবারিক টানাপড়েন, ভাঙনের গল্প নিয়ে ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’-এর রচনাকার মারুফ রেহমান। পরিচালনা করছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। প্রচার হয়েছে এ নাটকের ৬৪ পর্ব।   পলাশের শুরুর পথটা কষ্টের হলেও এখন মা বাবা সহ পরিবারের সবাই তার কাজে সাপোর্ট দেন।জনায়েদ ইভান এবং কাজল আরেফিন তাকে দিয়েছেন অন্য এক জগতের স্বাদ। , পলাশ খুবই ভালো মনের মানুষ এবং সবাইকে তিনি সম্মান করেন। সৎ নিষ্ঠাবান হওয়ার কারণেই আজ তার এত খেতি।   আমরা পলাশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হোক এই কামনা করি আজকের ভিডিওটি শেষ করব এবং অনুরোধ করতে চাইবো এই ভিডিওটি আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার এবং ভিডিওটি কেমন লাগলো কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের কাছে জানিয়ে দেওয়ার।